ঢাকা , শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ , ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ড্যাফোডিল ফার্মাসির বনভোজনে রঙিন আয়োজনে নবীন বরন ও নেতৃত্বের নতুন যাত্রা

আতিকুর রহমান বাবু
আপলোড সময় : ২৭-০২-২০২৫ ০৮:৩৭:১০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৭-০২-২০২৫ ১০:০৮:৫৯ অপরাহ্ন
ড্যাফোডিল ফার্মাসির বনভোজনে রঙিন আয়োজনে নবীন বরন ও নেতৃত্বের নতুন যাত্রা বিভাগের শিক্ষকরা নবীনদের হাতে শুভেচ্ছা স্বরূপ গোলাপ ফুল তুলে দেন
ড্যাফডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মাসি বিভাগ আয়োজন করলো এক আনন্দঘন বনভোজন। প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থীর প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে ২৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) গাজীপুরের সবুজ পাতা রিসোর্টে এই আয়োজন করে বিভাগের সংগঠন ফার্মাসিয়া ক্লাব।

সকালে আশুলিয়ার ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীরা বাসে করে রওনা দেন। যাত্রাপথেই পরিবেশন করা হয় সকালের নাশতা। রিসোর্টে পৌঁছে দিনভর ছিলো নানা আয়োজন—শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য মজার খেলাধুলা, আড্ডা আর আনন্দঘন মুহূর্ত।দুপুরের খাবারের পর অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের নাচ, গান ও অভিনয়ের মাধ্যমে জমিয়ে রাখেন পুরো আয়োজন।

এই বনভোজনের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ। বিভাগের শিক্ষকরা নবীনদের হাতে শুভেচ্ছা স্বরূপ গোলাপ ফুল তুলে দেন, যা তাদের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতির পাতায় বিশেষ জায়গা করে নেবে।

এছাড়া, এই আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় ফার্মাসিয়া ক্লাবের নতুন অন্তবর্তীকালীন কমিটি। নতুন নেতৃত্বকে শিক্ষকরা শুভকামনা জানান এবং শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে ক্লাবের কার্যক্রম আরও বর্ণিল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

ফার্মাসিয়া ক্লাবের সভাপতি লিথুন জানান,"এই বনভোজন সফল করার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে আমাদের ক্লাবের সকল সদস্য, বিশেষ করে সকল আয়োজক ও স্বেচ্ছাসেবকরা। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও দলগত প্রচেষ্টার কারণেই আমরা এই ইভেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। এছাড়া, অংশগ্রহণকারীদের সহযোগিতা ও উৎসাহও আমাদেরকে এই আয়োজনকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে অনুপ্রাণিত করেছে। যদিও কিছু ভুলত্রুটি ছিল, আমরা সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও উন্নত আয়োজন করার পরিকল্পনা করছি।"

তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ বলেন, "আমাদের ফার্মাসি বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও, আমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আর বন্ধন দারুণভাবে গড়ে উঠেছে। এসব আয়োজনে সেই বন্ধন আরও দৃঢ় হয়। সিনিয়র ভাই-বোন, সমবয়সী বন্ধু আর ছোট ভাইদের সম্মিলিত পরিশ্রম আর আন্তরিকতার কারণেই এত সুন্দর একটা আয়োজন সম্ভব হয়েছে। এমন পরিকল্পনা ও পরিশ্রমের জন্য আমাদের সিনিয়রদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।"


এক নবীন শিক্ষার্থী জানান, "নবীনবরণ নিয়ে যতটা আশা ছিলো, তেমন হয় নি। কিছু গিফট দিলে ভালো হইতো! যাইহোক, বনভোজন হিসেবে দিনটা সেরা ছিলো, স্মৃতি হয়ে থাকবে। ক্লাব যতদূর করছে ভালোই, তবে পরবর্তী বার সময় নিয়ে পরিকল্পনা করলে ইন শা আল্লাহ্ আরও ভালো হবে। আর আমরা আরেকটা নবীনবরণ অনুষ্ঠান চাই ঈদের পর ক্লাব ও বিভাগের পক্ষ থেকে।"

প্রতিবছরের মতো এবারও এই বনভোজন শিক্ষার্থীদের মাঝে সিনিয়র-জুনিয়র ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : BanglaNewsLive24

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ